মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন

শহীদ বুদ্ধিজীবী- শহীদুল্লাহ কায়সার

শহীদ বুদ্ধিজীবী- শহীদুল্লাহ কায়সার

শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের সহোদর ছোট ভাই শহীদ বুদ্ধিজীবী জহির রায়হান ছিলেন খ্যাতনামা চলচ্চিত্র নির্মাতা জাতীয় পুরস্কার ব্যক্তিত্ব। স্বাধীনতা পূর্বে জহির রায়হান শহীদুল্লাহ কায়সারের পরামর্শে ‘জীবন থেকে নেওয়া’ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন-যা আমাদের মুক্তির সংগ্রামকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়।
মানবতাবাদী শহীদুল্লাহ কায়সার মায়ের কথা রাখতে গিয়ে কুমিল্লার এক বনেদী পরিবারের মেয়ে পান্না কায়সারকে ১৯৬৯ সালে বিয়ে করেন। পান্না কায়সার তখন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের এম.এ ক্লাসের ছাত্রী। ১৯৬৯ তখন শহীদুল্লাহ কায়সার সাংবাদিক ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন আর আতাউস সামাদ সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ৭১ সনে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে শহীদুল্লাহ সাংবাদিক ফেডারেশনের গাড়ী ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধাদের বর্ডার পাস করতে, আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা, খাবার ও ঔষধপত্র প্রভূতি যোগাড় করতে গিয়ে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছিলেন।
কিন্ত ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, রাজাকার-আলবদরা শহীদুল্লাহ কায়সারকে বিজয়ের উষালগ্নে ১৪ই ডিসেম্বর বিকেলে তাদের কায়েতটুলি বাড়ী থেকে অস্ত্রের মুখে তোলে নিয়ে যায়। উল্লেখ্য রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত তাকে সতর্ক করেছিল এবং রাশিয়ার দূতাবাসে আশ্রয় নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু ঐ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কারফিউ ছিল। তাই সন্ধ্যার পরে শহীদুল্লাহ কায়সার রাশিয়ান দূতাবাসে আশ্রয় গ্রহণের উদ্দেশ্যে মনস্থির করেন। কিন্ত ১৪ই ডিসেম্বর বিকেল বেলায় শহীদুল্লাহ কায়সারকে হানাদাররা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। অতপর: স্বাধীনতার পরে জানুয়ারিতে শহীদুল্লাহ কায়সারের লাশের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় জহির রায়হান।
বামপন্থী রাজনীতিবিদ শহীদুল্লাহ কায়সার একজন সাহিত্যিকও ছিলেন বটে। তাঁর অমর রচনা ‘সংশপ্তক’ ও ‘সারেং বউ’ গ্রন্থ দুটি বাংলা সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য। উনি বিশিষ্ট টিভি অভিনেত্রী শমী কায়সারের পিতা।

 

শাফায়েত জামিল রাজীব

-সম্পাদক

একুশে টাইমস্ নিউজ মিডিয়া

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana